Search This Blog ( এই ব্লগটি অনুসন্ধান করুন )

Monday 29 April 2019

বাংলার শেষ নবাব নাজিম ফেরাদুন জাঁ।


@ ঐতিহাসিক হাজারদুয়ারী প্রাসাদের দরবার গৃহে পারিষদবর্গ সহ শেষ নবাব নাজিম ফেরাদুন জাঁ। ১৮৪৭ খ্রীষ্টাব্দের ২১ শে মে।

Saturday 27 April 2019

কাশিমবাজার ছোটো রাজবাড়ী।


@ এক সময় জগদ্বিখ্যাত বন্দর কাশিমবাজার ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল সমৃদ্ধ হয়েছিল যে সকল রাজ পরিবারের দ্বারা, সেই সকল রাজ পরিবারের মধ্যে অন্যতম ছিল অযোধ্যারাম রায় এর পরিবার। যিনি ছিলেন কাশিমবাজার ছোটো রাজবাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীতে ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে পিতা অন্নদাপ্রসাদ রায়বাহাদুরের অকাল প্রয়াণে এই পরিবারের সপ্তম পুরুষ রাজা আশুতোষ নাথ রায় সমস্ত বিষয় সম্পত্তির মালিক হন। কিন্তু সেই সময় তিনি মাত্র ৪ বছর বয়সের বালক।স্বাভাবিক ভাবেই আইন মোতাবেক তার সকল সম্পত্তি " কোর্ট অব ওয়ার্ডস " এর অধীনে রক্ষিত হয়। অবশেষে তিনি বয়ঃপ্রাপ্ত হলে ১৮৯৮ খ্রীষ্টাব্দে ১ লা মে তারিখে ভারতের তদানিন্তন ভাইসরয় এবং গভর্ণর জেনারেল তাকে রাজা উপাধিতে ভূষিত করে সম্মানীয় " সনদ " প্রদান করেন। এই আনন্দঘন মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কাশিমবাজার ছোটো রাজবাড়ীতে। মুর্শিদাবাদের অনেক খ্যাতিমান রাজপুরুষ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানের শোভা বর্ধন করেছিলেন। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে ধারণকৃত একটি আলোকচিত্রেই আজকের এই আলোকপাত। (১) রাজা আশুতোষ নাথ রায়। (২) রাজা মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী ( কাশিমবাজার বড়ো রাজবাড়ী )। (৩) মুর্শিদাবাদের ভাবি নবাব বাহাদুর স্যার ওয়াসিফ আলী মির্জা। (৪) মুর্শিদাবাদের প্রথম নবাব বাহাদুর হাসান আলী মির্জার দেওয়ান ফজলে রব্বী। 

লেখা : Anindya Sarkar.

Thursday 18 April 2019

ঐতিহ্যবাহী দশ শিব মন্দির.......


@ ঐতিহ্যবাহী দশ শিব মন্দির......
কাশিমবাজার।
মুর্শিদাবাদ।

👉 আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগে এই মুর্শিদাবাদের মাটিতেই গঙ্গা নদীর একটি অশ্বক্ষুরাকৃতি বাঁকের অংশে এক অখ্যাত নদী বন্দরের পথ চলা শুরু হয়েছিল । অল্পদিনেই নিজ যোগ্যতায় সে ধারণ করে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা। সেই কাশিমবাজার বন্দর পরবর্তীতে প্রায় ২০০ বছর ধরে বিশ্বের দরবারে নিজের গৌরবগাঁথা বিঘোষিত করে। ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বণিকগণ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে  তখন পাড়ি জমান এই কাশিমবাজারের উদ্দেশ্যে। একে একে এখানে এসে উপস্থিত হন আর্মেনিয়ান, ডাচ,  ফরাসি ও ব্রিটিশদের মতন  বিদেশী বণিকেরা। আস্তে আস্তে  অসংখ্য দেশীয় বণিকদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হয়ে ওঠে এই কাশিমবাজার। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে পিতৃপুরুষের ভিটে মাটির মায়া ত্যাগ করে, এই জেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত পিরোজপুর গ্রাম ছেড়ে কাশিমবাজারে চলে আসেন জনৈক অযোধ্যারাম রায়। তখন বিশ্বের দরবারে এক জমজমাট বানিজ্য কেন্দ্র হিসেবে কাশিমবাজারের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির হাতছানি তিনি হেলায় অস্বীকার করতে পারেননি। কাশিমবাজার ছোটো রাজবাড়ীর যে পত্তন এই অযোধ্যারাম রায় এর হাতে শুরু হয় তা পরবর্তীতে একসময় উন্নতির চরমে ওঠে। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন  স্থাপত্য গড়ে উঠে এই রাজবাড়ীর বংশধরদের পৃষ্ঠপোষকতায়। কাশিমবাজার ছোটো রাজবাড়ীর সামান্য উত্তরে অবস্থিত দশ শিব মন্দির তেমনই এক স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তৎকালীন গঙ্গা বা বর্তমান কাটি গঙ্গার পাশেই মন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছিল বিভিন্ন সময় এই রাজবাড়ীর বিভিন্ন বংশধরদের দ্বারা। তবে অনেকে মনে করেন ধর্মপরায়ণা রাণী আর্নাকালী দেবীই এই দশ শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। অতীতে তিন দিকে প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল এই মন্দির গুচ্ছ, যে প্রাচীরের আজকে কোনো অস্তিত্বই নেই। এই দশ শিব বাড়ির প্রশস্ত অঙ্গনে প্রবেশ করার জন্য পশ্চিমদিকের প্রাচীরে একটি প্রবেশদ্বার আছে। প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করেই বামদিকে অর্থাৎ উত্তরদিকে প্রাচীরের গা ছোঁয়া পূর্ব মুখি দুটি শিব মন্দির চোখে পড়ে। এই প্রথম মন্দিরের ইষ্ট দেবতার নাম “ ভৈরব নাথ “। পূর্ব মুখি উত্তর – দক্ষিণে বিস্তৃত উত্তর দিক থেকে দ্বিতীয় মন্দিরের ইষ্টদেবতার নাম “ বিশ্বনাথ “। যথাক্রমে পূর্ব মুখি তৃতীয় মন্দিরের ইষ্টদেবতার নাম “ বৈদ্যনাথ “। পূর্ব মুখি  চতুর্থ মন্দিরের ইষ্টদেবতার নাম “ সোমনাথ “। পূর্ব মুখি পঞ্চম মন্দিরের ইষ্টদেবতার নাম “ রামেশ্বর নাথ “।  এছাড়া অঙ্গনের দক্ষিণ দিকে প্রাচীরের প্রায় গা ছোঁয়া পাশাপাশি উত্তর মুখি আরও পাঁচটি মন্দির আছে। এই পাঁচটি মন্দিরের মধ্যে পশ্চিম দিক থেকে উত্তর মুখি প্রথম মন্দিরের ইষ্টদেবতার নাম “ তারকনাথ “। যযথাক্রমে উত্তর মুখি দ্বিতীয় মন্দিরের ইষ্টদেবতার নাম “ ত্রম্বকনাথ “। পরবর্তী অর্থাৎ তৃতীয় উত্তর মুখি মন্দিরের ইষ্টদেবতার নাম “ অমর নাথ “।  চতুর্থ উত্তর মুখি মন্দিরের ইষ্টদেবতার নাম “ কেদারনাথ “। এই সারির শেষ অর্থাৎ পঞ্চম উত্তর মুখি মন্দিরের ইষ্টদেবতার নাম “ সারনাথ “। এই মন্দির গুলি  সমষ্টিগত ভাবে ইংরেজি  এলফাবেট  (  L )  অক্ষরের সৃষ্টি করেছে। শোনা যায়,  পূর্বে প্রতিদিন পাঁচ পোয়া আতপ চালের অন্নভোগ হত। তার সঙ্গে থাকত দশটি কাঁচা মিষ্টি এবং দশটি পাকা কলা।  কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে সন্ধ্যায় হতো সন্ধ্যারতি। সেকালে দেবতার উদ্দেশ্যে যে ভোগ হতো তাকে বলা হতো  “ দান “। শিবরাত্রির সময় এখানকার স্থানীয় মানুষজন মহাধুমধামে এখনও শিব রাত্রির উৎসব পালন করেন। কাশিমবাজারের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য গুলির মধ্যে এই দশ শিব মন্দির অন্যতম যা সময়ের সাথে যুদ্ধে আজও বিজয়ী.......

লেখা : Anindya Sarkar.

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসে এই ক্ষুদ্র নিবেদন।

Tuesday 16 April 2019

মুর্শিদাবাদ জেলার শিক্ষা প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন শ্রী শ্রীপৎ সিং দূগড়।




@ দিগন্ত বিস্তৃত শস্য শ্যামলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ইতিহাসের সোঁদা গন্ধের টানে অসংখ্য পর্যটক এই মুর্শিদাবাদে ভ্রমণে আসেন। এই জেলার আনাচে কানাচে এখনও ফিসফিস করে যেন ইতিহাস কথা বলে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ইতিহাসের অপূর্ব মেলবন্ধন এই ঐতিহাসিক জেলা। ঐতিহাসিক সাগরদীঘি, দিগ্বিজয়ী রাজা শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ, মহীপাল ইত্যাদি অসংখ্য মূল্যবান ঐতিহাসিক স্থান এই জেলাতেই অবস্থিত। এছাড়াও নবাবদের স্মৃতি বিজড়িত শহর মুর্শিদাবাদ ও অষ্টাদশ থেকে উনবিংশ শতাব্দীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত জৈন ধর্মাবলম্বীদের আবাসস্থল জিয়াগঞ্জ - আজিমগঞ্জের প্রতিটি অলিতে-গলিতে যেন ইতিহাস আজও কথা বলে। সময়ের অভাবে পর্যটকেরা হয়ত সব জায়গায় পৌঁছাতে পারেন না ঠিকই, তবুও হাজারদুয়ারীর পাশাপাশি কাঠগোলা প্রাসাদ বা বাগানবাড়ী ঘুরে দেখেন নি এমন পর্যটক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এই কাঠগোলা বাগানবাড়ীর অপরূপ সৌন্দর্য্য আজও আপামর বাঙালিকে মোহিত করে। এছাড়াও এই বাগানবাড়ীর নির্মাতা লক্ষীপৎ সিং দূগড় এর উত্তর পুরুষ শ্রী শ্রীপৎ সিং দূগড় এর অকৃপণ দান জেলার শিক্ষাব্যবস্থার ইতিহাসে আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। জেলার অসংখ্য যুবক, যুবতী তাদের শিক্ষা জীবনের মূল্যবান কয়েক বছর সময় অতিবাহিত করেছেন " শ্রীপৎ সিং কলেজ " এ , কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেন না যে শ্রীপৎ সিং দূগড় কেমন দেখতে ছিলেন। এছাড়াও এই জেলার শিক্ষাব্যবস্থায় তার অবদানের কথা অনেকেই অবগত নন।  এখানে উল্লিখিত ছবিগুলি যথাক্রমে শ্রী শ্রীপৎ সিং দূগড় ( যখন তার বয়স ৭০ বছর), সস্ত্রীক শ্রী শ্রীপৎ সিং দূগড়, শ্রীপৎ সিিং কলেজের প্রবেশপথ ও কাঠগোলা প্রাসাদ। 

লেখা : Anindya Sarkar.

Sunday 14 April 2019

মুর্শিদাবাদের নবাবি কেল্লার সেকাল ও একাল।







@ ১৭০৪ খ্রীষ্টাব্দে মুর্শিদাবাদ নগরীর পত্তন করে এখানে নিজের দেওয়ানি কার্যালয় স্থাপন করেন দেওয়ান করতলব খাঁ। মুর্শিদাবাদ নগরীর পত্তনের আগেও এই শহরের অস্তিত্ব ছিল, তবে তা অন্য নামে বা অন্য পরিচয়ে। সেটা ছিল অপেক্ষাকৃত ছোটো একটা শহর " মুখসুদাবাদ "। পূর্বতন সুবেদার আজীমুসসানের রাজত্বকালে মুখসুদাবাদের ফৌজদার জনৈক " বলদেব রায় " বসবাস করতেন এই শহরেই। পরবর্তীতে ১৭১৭ খ্রীষ্টাব্দে নবাব মুর্শিদকুলী খানের দৌলতে এই ছোট্ট শহর নিজ মস্তিষ্কে ধারণ করে রত্নখচিত প্রাদেশিক রাজধানীর মুকুট। যা আগামীতে প্রায় ৬০ বছর ধরে বিশ্বের দরবারে নিজের গৌরবগাঁথা বিঘোষিত করে। ১৭০৪ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৭১৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত এই সময়কালে দেওয়ান করতলব খাঁ বা মুর্শিদকুলী খানকে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং ১৭১৭ খ্রীষ্টাব্দে তিনি এই সুবার দেওয়ান ও সুবেদার নিযুক্ত হন। অতঃপর তিনিই হয়ে ওঠেন এই সুবার সর্বময় কর্তা। সুবেদারের পরিবারের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই শহরেই শুরু হল দূর্গ নির্মাণের কাজ যা পরবর্তী নবাব সুজাউদ্দৌলার রাজত্বকালে বৈভবের আর এক নাম হয়ে উঠল । অনেক প্রাসাদ ও ভবন গড়ে উঠল এই কেল্লার মধ্যস্থিত এলাকায়, যেমন - দেওয়ান-ই-খাস বা প্রাইভেট হল, ম্যামো হাউস, রুহু আফজা, মহল সরাই, মতিমহল, সোনা মহল, চাঁদি মহল, এমতিয়াজ মহল, আয়না মহল, বেগম মহল ইত্যাদি। এই সমস্ত স্থাপত্য গুলো ইন্দো পারসিক স্থাপত্য রীতি অনুযায়ী গড়ে উঠল । এছাড়াও কেল্লায় প্রবেশের জন্য নহবতখানা সহ কয়েকটি বৃহৎ প্রবেশদ্বার গড়ে উঠল, এর মধ্যে অনেকে স্থাপত্যই আজকে অতীতের স্মৃতি মাত্র । প্রবেশদ্বার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ত্রিপোলিয়া প্রবেশদ্বার ও দক্ষিণ দরওয়াজা । আজকের বিষয় সেই ঐতিহাসিক দক্ষিণ দরওয়াজা। বিভিন্ন সময়কালে কেমন ছিল সেই বিখ্যাত দক্ষিণ দরওয়াজা ?

লেখা : Anindya Sarkar.

Thursday 11 April 2019

হাজারদুয়ারীর একাল ও সেকাল




নবাবি আমলের বড়োকুঠী বা হাল আমলের হাজারদুয়ারী, যে নামেই ডাকা হোক না কেন তা মুর্শিদাবাদে ভ্রমণরত সকল ভ্রমনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ। এখানে সংরক্ষিত বিভিন্ন মূল্যবান ঐতিহাসিক প্রত্নসম্পদ এই সংগ্রহশালাকে পৃথিবীর মঞ্চে শ্রেষ্ঠ আসনে স্থাপিত করেছে। যা পৃথিবীর যে কোনো সংগ্রহশালার ঈর্ষার কারণ। কিন্তু এখানে ভ্রমণরত পর্যটকদের কৌতূহলী মনের অনেক প্রশ্ন, প্রশ্নই রয়ে যায়। এরপর তারা বাড়ি ফিরে যান এই অজস্র প্রশ্নের কিছু ধোঁয়াশা ভরা উত্তর নিয়েই। যেমন, কেমন ছিলো এই প্রাসাদে বসবাসকারী নবাবদের বিভিন্ন অলংকার ও ব্যবহারকৃত বিভিন্ন উপকরণ। নবাবদের ব্যবহারকৃত বিভিন্ন উপকরণ হয়তো এই সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে ঠিকই, কিন্তু কোনো অলংকার নেই। বিখ্যাত ঐতিহাসিক শ্রী পূর্ণ চন্দ্র মজুমদার তার " Tha Musnud of Murshidabad " গ্রন্থে এমনই একটি অলংকারের ছবি প্রকাশ করেছিলেন। এই বিখ্যাত ছবিই আজকের বিষয়। উক্ত ছবিতে অলংকারের পাশাপাশি কয়েকটি তরবারী দেখা যাচ্ছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নবাব মীরজাফরের ব্যবহৃত একটি তরবারী। যেটি ছবির একেবারে বাম পাশে আছে এবং উক্ত তরবারীর হাতলটি সম্পূর্ণ হাতির দাঁতে তৈরী । এছাড়াও উক্ত হাতলে সোনার জালির কারুকার্য চোখে পড়ে। তবে উক্ত তরবারীটি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এই তরবারীটি বর্তমানে কোলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সযত্নে সংরক্ষণ করা আছে।
তথ্য সংগ্রহ ও লেখা : Anindya Sarkar.