@ দিগন্ত বিস্তৃত শস্য শ্যামলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ইতিহাসের সোঁদা গন্ধের টানে অসংখ্য পর্যটক এই মুর্শিদাবাদে ভ্রমণে আসেন। এই জেলার আনাচে কানাচে এখনও ফিসফিস করে যেন ইতিহাস কথা বলে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ইতিহাসের অপূর্ব মেলবন্ধন এই ঐতিহাসিক জেলা। ঐতিহাসিক সাগরদীঘি, দিগ্বিজয়ী রাজা শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ, মহীপাল ইত্যাদি অসংখ্য মূল্যবান ঐতিহাসিক স্থান এই জেলাতেই অবস্থিত। এছাড়াও নবাবদের স্মৃতি বিজড়িত শহর মুর্শিদাবাদ ও অষ্টাদশ থেকে উনবিংশ শতাব্দীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত জৈন ধর্মাবলম্বীদের আবাসস্থল জিয়াগঞ্জ - আজিমগঞ্জের প্রতিটি অলিতে-গলিতে যেন ইতিহাস আজও কথা বলে। সময়ের অভাবে পর্যটকেরা হয়ত সব জায়গায় পৌঁছাতে পারেন না ঠিকই, তবুও হাজারদুয়ারীর পাশাপাশি কাঠগোলা প্রাসাদ বা বাগানবাড়ী ঘুরে দেখেন নি এমন পর্যটক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এই কাঠগোলা বাগানবাড়ীর অপরূপ সৌন্দর্য্য আজও আপামর বাঙালিকে মোহিত করে। এছাড়াও এই বাগানবাড়ীর নির্মাতা লক্ষীপৎ সিং দূগড় এর উত্তর পুরুষ শ্রী শ্রীপৎ সিং দূগড় এর অকৃপণ দান জেলার শিক্ষাব্যবস্থার ইতিহাসে আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। জেলার অসংখ্য যুবক, যুবতী তাদের শিক্ষা জীবনের মূল্যবান কয়েক বছর সময় অতিবাহিত করেছেন " শ্রীপৎ সিং কলেজ " এ , কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেন না যে শ্রীপৎ সিং দূগড় কেমন দেখতে ছিলেন। এছাড়াও এই জেলার শিক্ষাব্যবস্থায় তার অবদানের কথা অনেকেই অবগত নন। এখানে উল্লিখিত ছবিগুলি যথাক্রমে শ্রী শ্রীপৎ সিং দূগড় ( যখন তার বয়স ৭০ বছর), সস্ত্রীক শ্রী শ্রীপৎ সিং দূগড়, শ্রীপৎ সিিং কলেজের প্রবেশপথ ও কাঠগোলা প্রাসাদ।
লেখা : Anindya Sarkar.
No comments:
Post a Comment