Search This Blog ( এই ব্লগটি অনুসন্ধান করুন )

Sunday 14 April 2019

মুর্শিদাবাদের নবাবি কেল্লার সেকাল ও একাল।







@ ১৭০৪ খ্রীষ্টাব্দে মুর্শিদাবাদ নগরীর পত্তন করে এখানে নিজের দেওয়ানি কার্যালয় স্থাপন করেন দেওয়ান করতলব খাঁ। মুর্শিদাবাদ নগরীর পত্তনের আগেও এই শহরের অস্তিত্ব ছিল, তবে তা অন্য নামে বা অন্য পরিচয়ে। সেটা ছিল অপেক্ষাকৃত ছোটো একটা শহর " মুখসুদাবাদ "। পূর্বতন সুবেদার আজীমুসসানের রাজত্বকালে মুখসুদাবাদের ফৌজদার জনৈক " বলদেব রায় " বসবাস করতেন এই শহরেই। পরবর্তীতে ১৭১৭ খ্রীষ্টাব্দে নবাব মুর্শিদকুলী খানের দৌলতে এই ছোট্ট শহর নিজ মস্তিষ্কে ধারণ করে রত্নখচিত প্রাদেশিক রাজধানীর মুকুট। যা আগামীতে প্রায় ৬০ বছর ধরে বিশ্বের দরবারে নিজের গৌরবগাঁথা বিঘোষিত করে। ১৭০৪ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৭১৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত এই সময়কালে দেওয়ান করতলব খাঁ বা মুর্শিদকুলী খানকে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং ১৭১৭ খ্রীষ্টাব্দে তিনি এই সুবার দেওয়ান ও সুবেদার নিযুক্ত হন। অতঃপর তিনিই হয়ে ওঠেন এই সুবার সর্বময় কর্তা। সুবেদারের পরিবারের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই শহরেই শুরু হল দূর্গ নির্মাণের কাজ যা পরবর্তী নবাব সুজাউদ্দৌলার রাজত্বকালে বৈভবের আর এক নাম হয়ে উঠল । অনেক প্রাসাদ ও ভবন গড়ে উঠল এই কেল্লার মধ্যস্থিত এলাকায়, যেমন - দেওয়ান-ই-খাস বা প্রাইভেট হল, ম্যামো হাউস, রুহু আফজা, মহল সরাই, মতিমহল, সোনা মহল, চাঁদি মহল, এমতিয়াজ মহল, আয়না মহল, বেগম মহল ইত্যাদি। এই সমস্ত স্থাপত্য গুলো ইন্দো পারসিক স্থাপত্য রীতি অনুযায়ী গড়ে উঠল । এছাড়াও কেল্লায় প্রবেশের জন্য নহবতখানা সহ কয়েকটি বৃহৎ প্রবেশদ্বার গড়ে উঠল, এর মধ্যে অনেকে স্থাপত্যই আজকে অতীতের স্মৃতি মাত্র । প্রবেশদ্বার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ত্রিপোলিয়া প্রবেশদ্বার ও দক্ষিণ দরওয়াজা । আজকের বিষয় সেই ঐতিহাসিক দক্ষিণ দরওয়াজা। বিভিন্ন সময়কালে কেমন ছিল সেই বিখ্যাত দক্ষিণ দরওয়াজা ?

লেখা : Anindya Sarkar.

No comments: