👉 ইতিহাস এমন একটি বিষয় যা দেখে ও পড়তে গিয়ে ছাত্র জীবনে বিরক্তির উদ্রেক হয়েছে এমন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অজস্র । কিন্তু সেই ইতিহাসকেই গল্পের আকারে পরিবেশন করলে সত্যিই যেন রোমাঞ্চকর মনে হয় । আমাদের এই পৃথিবী অথবা দেশ বা রাজ্য বা জেলা, প্রত্যেকেরই একটি নিজস্ব নবীন ও প্রাচীন ইতিহাস আছে । তবুও আমরা অপেক্ষাকৃত নবীন ইতিহাসকেই অধিক প্রাধান্য দিয়ে এসেছি চিরকাল । তার কারণ হয়তো নবীন ইতিহাস অনুসন্ধান অপেক্ষাকৃত সহজসাধ্য । অসংখ্য স্থাপত্য নিদর্শন ও বিভিন্ন স্থানের নামের দ্বারা এই নবীন ইতিহাস তার নিজের কথা মনে করায় প্রতিনিয়ত । তবে তথাকথিত প্রাচীন ইতিহাসও বিভিন্ন স্থানের নামের মাধ্যমে জীবিত আছে কোথাও কোথাও । কালের বিবর্তনে সেই সমস্ত নামের কিছুটা পরিবর্তনও হয়ে থাকতে পারে । এমনই একটি গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেল মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানা এলাকায় , যে গ্রামের নাম ও সেখানে প্রাপ্ত প্রত্ন সামগ্রী সত্যিই যেন বিস্ময়ের উদ্রেক করে । উক্ত গ্রামের নাম “ সাউন্দি “ । হয়তো “ সেন দিঘী “ থেকে “ সাউন দিঘী “ , তারপর “ সাউন ডিহি “ , তারপর Saundi “ সাউন্দি “ । অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে । তার কারন এই গ্রামেরই দক্ষিণ- পূর্ব প্রান্তে একটি গাছের নিচে একটি অতি প্রাচীন পাথরের অংশ দেখতে পাওয়া যায় । সামান্য কারুকার্য খচিত সেই প্রাচীন পাথরের আকার ও গড়ন দেখে অনুমান করা যায় যে সেটি কোনো গৃহের প্রবেশদ্বারের পাথরের চৌকাঠের উপরের অংশ । ওড়িষার প্রাচীন মন্দির গুলির চৌকাঠের সাথে তার কিছুটা মিল পাওয়া যায় । তাহলে কি সেটি কোনো প্রাচীন মন্দিরের চৌকাঠের অংশ ? যেটি অবস্থিত ছিল সাউন্দি গ্রামে ? আর একটি প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে , যে এই “ সাউন্দি “ গ্রামই কি প্রাচীন “ সেন দিঘী “ গ্রাম , যা সেন রাজত্বকালে তৈরি হয়েছিল ? প্রশ্ন অনেক কিন্তু এর উত্তর খোঁজা ও মরুভূমিতে জল খুঁজে পাওয়া সমান ।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অনুসন্ধান ।
✍ লেখা ও 📷 ছবি : অনিন্দ্য সরকার ।
No comments:
Post a Comment