☞☞ জনৈক হৃষিকেশ লাহা ছিলেন মেদিনীপুর জমিদারি কোম্পানির মালিক । তাদের বাড়ি ছিল মেদিনীপুর । তাদের জমিদারি দুভাগে বিভক্ত ছিল । দক্ষিণ জোনের সদর ছিল গোদাপিয়াশাল আর উত্তর জোনের সদর শিকারপুর কুঠি । এরা ছিলেন মুর্শিদাবাদ নবাবের আশ্রিত পত্তনীদার । এদের ব্যবসা ছিল স্বদেশে ও বিদেশে । দেশের ব্যবসা ছিল গোলদারী । উত্তরাংশে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের বৃহদংশে তাদের জমিদারি ছিল । পলিমাটি দ্বারা গঠিত এই এলাকা । এই এলাকা নীল চাষের পক্ষে উপযুক্ত বিবেচিত হওয়ায় ইংরেজ নীলকর সাহেবগণ নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের ব্যাপক অংশে নীল চাষ শুরু করে । এজন্য তারা চাষীদের দাদন দিত এবং জোর করে নীল চাষ করাতো । কেউ চাষ করতে অস্বীকার করলে অমানুষিত অত্যাচার করত । এই নীল বস্ত্রশিল্পের কাজে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হতো । ফলে এটা ছিল ব্যাপক আয়ের পথ । সুতরাং কিছু অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজ কর্মচারী এবং ইংরেজ যুবক , বাংলা ও বিহারে একাজ শুরু করে জমিদারদের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নিয়ে । " এন্ড্রু ইউল এন্ড কোং " হৃষিকেশ লাহার কাছে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকার এজেন্সী নেয় মূলত নীল চাষের জন্য । এরা এই এলাকায় নদীয়ার মেহেরপুর , আমঝুপি ( বর্তমানে বাংলাদেশে ) , রাজশাহীর বিলবাড়িয়া ( বর্তমানে বাংলাদেশে ) , মুর্শিদাবাদের ডোমকল , সুজাপুর ভগবানগোলার খড়িবোনা , পাটিকাবাড়ি ও নদীয়ার শিকারপুরে কুঠি স্থাপন করে ।
No comments:
Post a Comment